ক্রায়োসার্জারির কৌশল প্রয়োগে চিকিৎসা করাকে ক্রায়োথেরাপি বলে। ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিত্রে কমিয়ে -১৩০° থেকে -১৬৫° সে. তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়।এই সময় একটি সুচের মাধ্যমে টিউমার টিস্যুর অভ্যন্তরে তরল আর্গন গ্যাস খুব দ্রুত স্থানান্তর করা হয়। তাপমাত্রা অধিক কমার ফলে ঐ কোষের পানি জমে যায় এবং টিস্যুটি একটি বরফপিন্ডে পরে যায়।বরফপিন্ডের ভিতরে টিস্যুটি আটকা পড়ে গেলে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।এর ফলে টিস্যুর ক্ষয় সাধিত হয়। আবার ক্রায়োপ্রোব বা সুচের প্রান্ত দিয়ে টিউমারটির ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমের টিস্যুটির তাপমাত্রা ১০° সেলসিয়াস থেকে ৪০° সেলসিয়াসে এ উঠানো হয়।তখন জমাটবদ্ধ টিস্যুটি গলে যায় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।